আমরা ইতিমধ্যে মাদক, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। সুতরাং, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ রোববার সকালে মিরপুর সেনানিবাসে কমান্ড্যান্ট, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ কোর্সের সমাপনী এবং গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশের যুব সমাজের যোগ্যতা, জ্ঞান এবং শক্তিকে দেশের স্বার্থে কাজে লাগাতে চায়। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রেখে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আধুনিক বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে চাই যাতে তারা যে কোনো দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে এবং যে কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী (বিশ্বের) যেখানে কাজ করেছে, দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে যেখানে কাজ করেছে, মানবিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে সেখানকার মানুষের হৃদয় জয় করেছে।
এর আগে, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজ কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ। সেনাবাহিনীর ১২৫ জন, নৌবাহিনীর ৩৪ জন, বিমান বাহিনীর ২২ জন এবং বিশ্বের ২১ দেশের ৫৪ জন অফিসারসহ চলতি বছরে ২৩৫ জন অফিসার গ্র্যাজুয়েশন সনদ নিচ্ছেন। ২১টি দেশের মধ্যে রয়েছে- চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন, সৌদিআরব, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, সুদান, তানজানিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র ও জাম্বিয়া।
সূত্র : ইউএনবি।